Wednesday, October 31, 2018

হামহাম জলপ্রপাত শ্রীমঙ্গল - প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের হাতছানি (Hammam Waterfalls Srimangal - The beauty of nature is very charming


বাংলাদেশে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক জলপ্রপাত দেখতে সুযোগ মিস করবেন না! জীবনে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক জিনিসগুলি কঠিন কষ্ট ছাড়া এবং এটির প্রতি দৃঢ়সংকল্প দেখানো ছাড়া অর্জন করা যায় না। মৌলভীবাজারে হাম হাম জলপ্রপাতে ভ্রমণে যাবার অভিজ্ঞতা অনেকটা এই রকমই। মৌলভীবাজার জেলার রাজকান্দি রিজার্ভ বনে বাংলাদেশের সৌন্দর্য মন্ডিত এই হাম হাম জল প্রপাতটি অবস্থিত। এই জলপ্রপাত প্রায় 135 - 160 ফুট উচ্চ এবং বৃষ্টির সময় এটি তার সেরা সৌন্দর্য মিলে ধরে। মৌলভীবাজার তার চা বাগানের জন্য এবং বিশেষ করে 7 স্তর বিশিষ্ট রঙ্গিন চায়ের জন্য সুপরিচিত। মৌলভীবাজারের দূর্গম ও পাহাড়ী অংশে এই জলপ্রপাত অবস্থিত। এই এলাকাটি সিলেটের বাকি অংশের তুলনায় বেশ দূর্গম কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণে এই দূর্গমতায় সহায়তা করে। এখানে একমাত্র পায়ে হেঁটে যেতে হয় তাই একমাত্র পর্যটক ছাড়া কেউ এখানে যাতায়াত করে না। তবে এখানে যেতে যেহেতু শারিরিক সক্ষতা দরকার তাই যারা বয়সে তরুন এবং এডভেঞ্চার প্রিয় তারাই যেতে পারবে। এখানে ভালমানের রেস্টুরেন্ট ও বাসস্থানের অভাব বেশ পরিলক্ষিত হয়।

Tuesday, October 30, 2018

বিরিশিরি নেত্রকোনা - অপরূপ শ্বেত শুভ্র চিনামাটির পাহাড়ের পাদদেশ (Birishri Netrokona -The foot of Beautiful white Chinaman hill)



যদি আপনার মনে উঁকি দিয়ে যায় শান্ত ও চমৎকার নিড়িবিলি পরিবেশে সময় কাটানো ইচ্ছা।

এমন একটি জায়গা খুঁজছেন যা আপনাকে চুনাপাথর পাহাড়ের সুন্দর সৌন্দর্য এবং আপনার বন্ধুদের এবং প্রিয়জনদের সাথে লেকগুলি উপভোগ করার সুযোগ দেবে? বাংলাদেশে মাত্র হাতে গোনা  কয়েকটি স্থান রয়েছে যা বহুবিধ সাংস্কৃতিক পরিবেশের সাথে ক্রিস্টাল ক্লীয়ার পানি দেখতে পাওয়া যায়। বিড়িশিরির এমন একটি স্থান।

বিরিশিরি নেত্রকোনা জেলার শুশুং দুর্গাপুর থানা এলাকায় অবস্থিত। এটি শোমেশ্বরী নদী, ছোট সিরামিক পাহাড় এবং ফিরোজা রঙের জলের সাথে হ্রদের সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের জন্য সুপরিচিত। এটি বাংলাদেশের প্রায় 175 কিলোমিটার উত্তরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে। এটি বাংলাদেশের অন্য পর্যটন এলাকার তুলনায় বরং বেশী দূর্গম। বিরিশিরির গারো পাহাড়ের পাদদেশে একটি উপজাতি বাস করে যাদের জীবনাচরণ অনেকটা গারো সম্প্রদায়ের সাথে মিলে যায়।এই এলাকায় বসবাসকারী উপজাতিদের অধিকাংশই খ্রিস্টান। দূর্গম ও অন অগ্রসর গ্রামীন জীবন অবল্বনের কারনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখন পর্যন্ত অক্ষত রয়েছে।আপনি যদি একজন তরুণ এবং উদ্যমী ব্যক্তি হন, যিনি বন্ধুদের একটি গ্রুপের সাথে ভ্রমণ করেন এবং সিরামিক পাহাড়ে আরোহণ করতে চান এবং নীল, স্ফটিক পরিষ্কার পানিতে সাঁতার উপভোগ করেন চান। অথবা শান্ত প্রেমময় হন রা পর্যটকদের বিশাল ভিড় থেকে বিচ্ছিন্নতা খুঁজছে এবং একা পাহাড় ও হ্রদ উপভোগ করতে চান বা আপনার পরিবারের সাথে সময় কাটতে চান,তবে বিরিশিরি এমন একটি স্থান যা আপনাকে এগুলির সমাহার সাজিয়ে বসে আছে। 

Monday, October 29, 2018

সাজেক,রাঙ্গামাটি - পাহাড়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র (Sajek, Rangamati - the popular tourist center of Bangladesh)


কখনও কি মেঘ ছোঁয়ার স্বপ্ন মনে লালন করেছেন? কখনো এত বড় হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন যে আপনি পৃথিবীর বাকি অংশগুলো কীটপতঙ্গ আকারে দেখতে পাচ্ছেন? অথবা আপনি আকাশের কাছে পৌঁছে গেছেন। আর সেখান থেকে দেখছেন আপনার বসবাসের দুনিয়া। আপনি যদি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গাগুলিতে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক হন তবেই এই ধরনের স্বপ্ন পুরন সম্ভব হতে পারে।

চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল বাংলাদেশে এমন একটি স্থান যেখানে আপনি বিভিন্ন বৈচিত্র্যের সংস্কৃতি এবং সুন্দর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। সাজেক উপত্যকা চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত।রাঙ্গামাটি চারটি জেলার মধ্যে একটি। খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি,বান্দরবান, এবং চট্টগ্রাম মিলে  পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল গঠিত হয়েছে। সাজেক রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও,খাগড়াছড়ি জেলার মাধ্যমে এটি আরও সহজে প্রবেশযোগ্য।

Sunday, October 28, 2018

নকশিপল্লী পুর্বাচল যা ঢাকার কাছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র (another popular tourist spot of Bangladesh)


ঢাকায় বসবাসরত নাগরিকদের জন্য বাড়ী পাশে আরশি নগর হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র নকশিপল্লী পুর্বাচল। যারা আধাবেলা কিংবা একদিনের জন্য অল্পযাত্রার একটি ফুরফুরে সফর দিতে চান। তাদের জন্য ভোলাণাথপুর বাজার ও নকশীপল্লী হতে পারে একেবারে ভিন্ন স্বাদের ছোট একটা ভ্রমণ।  রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে নতুন ৩০০ ফিট রাস্তা ধরে পর পর দুটো ব্রিজ পার হলেই ভোলানাথপুর  আর ভোলানাথপুর থেকে একটু ভেতরে গেলেই নকশীপল্লী। আগেই বলে রাখি  নকশী পল্লী আসলে কোনো ঘোরার জায়গা নয় এটা শুধু একটা রেস্টুরেন্ট। যারা ঢাকার মধ্যেই যানজট থেকে দূরে গিয়ে একটু শান্তির আভাস পেতে চান তাদের জন্য একটা ভাল জায়গা হতে পারে পূর্বাচলের বালু ব্রিজের পাশের এই সুন্দর এলাকা। এখানে মোটামুটি অনেক খাওয়ার হোটেল, রেস্তোরা আছে কিন্তু একটু ভিন্ন ধাচের একটা রেস্তোরা হল নকশিপল্লী (Nokshi Polli)। আপনি এখানে নদীর পাশে বসে কিছুটা সুন্দর সময় কাটাতে পারেন, ইচ্ছে করলে বোটে ঘুরতে পারেন, এমনকি ঘোড়ার গাড়িতে চড়তে পারবেন। আর আশে পাশে হাটার অনেক জায়গা আছে। চারপাশের কাশফুলগুলো যখন দল বেধে উড়ে আসবে তখন পরিবেশ হবে আরো মনোমুগ্ধকর।

Saturday, October 27, 2018

উত্তরা গণভবন - বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র (Uttara Ganobhaban - Bangladesh's popular tourist center)



উত্তরা গণভবন বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।নাটোর জেলা উত্তরাঞ্চলের একটি প্রসিদ্ধ জেলা শহর। নাটোর শহরের থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি। যা বর্তমানে উত্তরা গণভবন নামে পরিচিত। উত্তরা গণভবন হলো উত্তরবঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্থানীয় কার্যালয় ও বাসভবন। উত্তরা গণভবন দেখতে হলে তাই জেলা প্রশাসনের অনুমতি লাগবে। তবে অনুমতি পাওয়া ততটা কঠিন নয়।

Friday, October 26, 2018

ঢাকেশ্বরী মন্দির - বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র(Dhakeswari Temple - popular tourist center of bangladesh)



বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ও ঢাকার প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঢাকেশ্বরী মন্দির। কিংবদন্তী আছে রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের জঙ্গলে দেবী দুর্গার একটি মূর্তি পেয়ে সেটাকে উপযুক্ত স্থানে রাখার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন।তাই একটি মন্দির নির্মাণ করে সেটিকে সেখানে স্থাপন করেন। আর নাম দেন ঢাকেশ্বরী মন্দির। অনেক ঐতিহাসিকের মতে এই ঢাকেশ্বরী নাম থেকেই ‘ঢাকা’ নামের উৎপত্তি। এই মন্দিরের নামের আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় ঢাকার ঈশ্বরী।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এই ঢাকেশ্বরী মন্দিরঃ


বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলীদের মতে তাদের এই মন্দিরের নাম অনুসারেই রাজধানী ঢাকার নামকরণ করা হয়েছে। এই ঢাকায় অবস্থিত হিন্দুদের একটি মন্দির ও ধর্মচর্চা কেন্দ্র। ১২শ শতাব্দীতে এটি রাজা বল্লাল সেন গড়ে তোলেন। তবে এই রাজা বল্লাল সেন, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন কিনা তা নীয়ে মতভেদ আছে। কিন্তু ঢাকেশ্বরী মন্দিরটি চুন-বালুর গাঁথুনিতে নির্মিত। অনেকেই মনে করেন এর নির্মাণশৈলী বৌদ্ধমন্দিরের মতো। কারণ আরাকানি বৌদ্ধমন্দিরের মতো এখানে পুকুর, অশ্বত্থ বৃক্ষ, বাগান, মঠ, পান্থশালা, সন্ন্যাসীর আশ্রম, মণ্ডপ, বারান্দা ইত্যাদি রয়েছে। এফ বি ব্রাডলি বার্ট ১৯০৬ সালে রোমান্স অব অ্যান ইস্টার্ন ক্যাপিটেল নামক গ্রন্থে লিখেছেন, ‘বর্তমান মন্দিরটি ২০০ বছরের পুরোনো ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক হিন্দু এজেন্ট নির্মাণ করেন।’ অবশ্য গত এক শ বছরে মন্দির কমপ্লেক্সটির অনেক সংস্কার হয়েছে। এখানে হিন্দুদের বিয়ে থেকে শুরু করে নানা পূজাপার্বণ হয়। বিভিন্ন সময় এই মন্দিরটি সংস্কার হয়েছে। আর প্রতিবারই এর আদি রুপের পরিবর্তন ঘঠেছে। বর্তমান রুপ মন্দিরটির আদি রুপ নয় এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

Thursday, October 25, 2018

বরেন্দ্র জাদুঘর - বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র(Varendra Museum - Bangladesh's popular tourist center)


বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বরেন্দ্র জাদুঘর রাজশাহীতে অবস্থিত।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী শহরের কেন্দ্রস্থল হাতেম খাঁন মহল্লায় অবস্থিত। বঙ্গীয় শিল্পকলার অপূর্ব সমাহারে সমৃদ্ধ এই সংগ্রহ শালাটি রাজশাহী তথা বাংলাদেশের গর্ব এবং অহংকার। বরেন্দ্র অঞ্চলের রাজন্যবর্গ, সমসাময়িক জ্ঞানী, গুণী ও পন্ডিতজন এখানকার নিজস্ব ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর। ১৮৬০ সালের ভারতীয় সমিতি আইন অনুযায়ী ১৯১৪ সালে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর নিবন্ধন লাভ করে। 

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাদুঘর। এটি বরেন্দ্র রিসার্চ সোসাইটির একটি বড় অর্জন। শরৎকুমার রায় এবং তাঁর সহযোগী অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়, রমাপ্রসাদ চন্দ প্রমুখ প্রত্ন-অনুরাগী এই প্রতিষ্ঠান দুটি গড়ে তোলার জন্য তাঁরা তাঁদের সময় ও শ্রম ব্যয় করেন। তাঁদের সারা জীবনের প্রয়াস ছিল ওই সময়ের টিকে থাকা অমূল্য প্রত্নসম্পদ (বাংলার, বিশেষ করে বরেন্দ্রীর) জনসম্মুখে প্রকাশ করা। বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর হলো বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর, যা ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। রাজশাহী অঞ্চলের সনাতন ইতিহাস, ধর্মীয় রীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদির বিশাল এক সংগ্রহ আছে এখানে। গবেষক ও পর্যটক উভয় ধরনের মানুষ এখানে ভ্রমণ করেন।


Wednesday, October 24, 2018

আহসান মঞ্জিল - ঢাকার নবাবী ঐতিহ্য (Ahsan Manzil - Nababi tradition of Dhaka)



আহসান মঞ্জিল ছিল ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব আবদুল গণি। তিনি তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহ-র নামানুসারে এর নামকরণ করেন।১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে আহসান মঞ্জিলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে সমাপ্ত হয়। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে এখানে এক অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। 

অবস্থান(location): এটি বাংলাদেশের পুরনো ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। 

Tuesday, October 23, 2018

সাগর কণ্যা কুয়াকাটা - অপরুপ সৌন্দর্যের হাতছানি ( kuakata is the beautiful sea beach of Bangladesh)


অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। দক্ষিণ এশিয়ায় একটি মাত্র সমুদ্রসৈকত যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা যায়। সমুদ্রের পেট চিরে সূর্যোদয় হওয়া এবং সমুদ্রের বক্ষে সূর্যকে হারিয়া যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা নিঃসন্দেহে দারুণ ব্যাপার। আর এই ঘটনা অবলোকন করা যায় বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি সুমদ্র সৌকত থেকে যার মধ্যে বাংলাদেশের কুয়াকাটা একটি। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও এই সাগরকন্যা তার জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।এখানে আরো যা দেখবেনঃ শুটকি পল্লী, ফাতরার বন, ওয়াটার মিউজিয়াম,গঙ্গামতির জঞ্জল,রাখাইন মার্কেট, ইকোপার্ক ও জাতীয় উদ্যান, মাজিদবাড়িয়া মসজিদ ও আরো অনেক কিছু।

Monday, October 22, 2018

কক্সবাজার সবচেয়ে সুন্দর এবং বড় সমুদ্র সৈকত (Cox’s Bazar is the beautiful largest sea beach)



কক্সবাজার, বাংলাদেশের অবস্থিত সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র এবং বাংলাদেশের অবস্থিত এটি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত।কক্সবাজার একটি ছোট শহর এবং দক্ষিনে অবস্থিত। বাংলাদেশের ছোট বন্দর।এই বিশিষ্ট সামুদ্রিক শহর বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ।120 কিলোমিটার একটানা  বালিময় সৈকত !এবং এটি বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী। সৈকত বিশ্বের পর্যটকের কাছে জনপ্রিয় হবার মূল কারণ হলো এই বীচ হাঙ্গর মুক্ত এবং স্নান, সাঁতার এবং সূর্য স্নানের জন্য ভাল। প্রচুর স্থানীয় পর্যটক ও বিদেশী পর্যটক কক্সবাজারে আসে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত প্রায় সারা বছর ধরে ভীড় থাকে।

Sunday, October 21, 2018

ময়মনসিংহের কুমিরের খামার (Crocodile farms of Mymensingh)


কখনো সামনে থেকে কুমির দেখেছেন? চিড়িয়াখানায় খাঁচার ওইপাশে মরো মর অবস্থায় পড়ে থাকা কোনো কুমিরের উপরে হয়তো চোখ পড়েছে আপনার, তবে এবার যেই স্থানের কথা বলবো সেখানে গেলে আপনি কেবল কুমির দেখতে নয়, বরং কুমির কীভাবে বেড়ে ওঠে ও পালিত হয়- পুরটাই দেখতে পাবেন। বলছিলাম ময়মনসিংহের কুমির খামারের কথা।

Saturday, October 20, 2018

মহাস্থান গড় - বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান এবং পর্যটন কেন্দ্র (Mahasthan gor - Historical Places and Tourism spot in Bangladesh)


মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। প্রসিদ্ধ এই নগরী ইতিহাসে পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামেও পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে এটি সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা হয়। এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে।প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহ্য, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন নগররাষ্ট্র এবং তার ধ্বংসাবশেষ ও প্রত্নস্থল হিসাবে সমগ্র বিশ্বের পর্যটক এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে মহাস্থানগড় আকর্ষণীয় ভ্রমন স্পট। মহাস্থান গড় বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রাচীন পর্যটন কেন্দ্র। এখানে মাজার জিয়ারত করতে এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান হতে বহু লোক সমাগম ঘটে। বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী হতে একবার হলেও ঘুড়ে যান এই অসাধারণ ঐতিহাসিক স্থানটি।

Friday, October 19, 2018

মনপুরা দ্বীপ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য (monpura island is the natural beauty of bangladesh)


ভোলা জেলার মুল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলা ভূমি রূপালী দ্বীপ মনপুরা। মেঘনার কোলে লালিত চতুর্দিকে মেঘনা নদীবেষ্টিত সবুজ শ্যামল ঘেরা। সু বিশাল নদী-নালা, চতুর্দিকে বেড়ীবাঁধ, বিভিন্ন ধরনের ধানের ক্ষেত, বিশাল ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছের বাগান ও মূল ভূখণ্ডে রয়েছে শত শত হরিণের বিচরণ। ২009 সালে গিয়াসউদ্দীন সেলিমের নির্দেশে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বিখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র মুনপুরা এবং এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মুষ্টিমেয় চলচ্চিত্রগুলির অন্যতম। চলচ্চিত্রটি সেই বছরের 5 টি জাতীয় পুরষ্কার জিতেছে। সকাল বেলা সুর্য ডিমের কুসুমের মত হলুদাভ আভা ছড়িয়ে মন কে পুলকিত করে জাগিয়ে তোলে আর সন্ধ্যাবেলা লাল আভা ছড়িয়ে অন্ধকারের গহীনে লুকিয়ে পড়ে আরো একটি রঙ্গিন প্রভাতে প্রতিক্ষায়।

ষাট গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের ঐতিহ্য (The sixty domed mosque is the tradition of Bangladesh)



বাগেরহাট জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। গায়ে কোনো শিলালিপি না থাকায়  কে নির্মাণ করেছিলেন বা কোন সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিল সে সম্বন্ধে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থাপত্যশৈলী দেখে খান-ই-জাহান নির্মাণ করেছিলেন সে সম্বন্ধে কোনো সন্দেহ থাকে না। ধারণা করা হয় ১৫শ শতাব্দীতে মসজিদটি নির্মাণ করেন। এটি দৈর্ঘ্যে ১৬৮ ফুট, প্রস্থে ১০৮ ফুট এবং দেয়ালগুলো ৮ ফুট করে চওড়া। ৬০টি স্তম্ভের উপর নির্মিত। একটি মতে পাওয়া যায়, মসজিদটি যে ষাটটি পাথরের স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, ফারসি ভাষায় তাকে বলা হয় খামবাজ। অর্থাৎ ৬০টি খাম্বার উপর দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদটির নাম ষাট খামবাজ থেকে ষাট গম্বুজ হয়েছে। একসঙ্গে প্রায় তিন হাজার মুসল্লি নামাজ অাদায় করতে পারে। ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো ষাট গম্বুজ মসজিদকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ঘোষণা করে।

Wednesday, October 17, 2018

ভাসমান পেয়ারার বাজার- বাংলাদেশের একমাত্র ভাসমান বাজার (Floating Payarar Bazar - The only floating market in Bangladesh


যারা থাইল্যান্ডের ফ্লোটিং মার্কেট দেখে ভাবেন এরকম একটি মার্কেট যদি আমাদের বাংলাদেশে থাকতো। তারা অনেকেই হয়ত জানেন না বর্ষায় বাংলাদেশে এমন একটি মার্কেট বসে যা রুপে গুনে অপরুপ ও পুরোপুরি প্রাকৃতিক। প্রতিদিন কয়েক হাজার মন পেয়ারা বেচাকিনি হয় এই অঞ্চলে। দূর দুরান্ত থেকে নদিপথে পাইকাররা এসে এখানে পেয়ারা কিনে। এই এলাকায় রয়েছে অসংখ্য পেয়ারার বাগান। চাষিরা সরাসরি বাগান থেকে পেয়ারা পেরে বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারদের কাছে বিক্রি করে। প্রতি বছরের জুলাই, আগষ্ঠ, সেপ্টেম্বর এই মৌসুমে কয়েকশ কোটি টাকার পেয়ারা উৎপাদন ও কেনাবেচা হয়। ভিমরুলি হাট খালের একটি মোহনায় বসে। তিনদিক থেকেই এই খালটি খোলা আর প্রশস্ত। ভিমরুলি গ্রামের আশেপাশে রয়েছে অসংখ্য পেয়ারা বাগান।পেয়ারার মৌসুম শেষ হলে আসে আমড়ার মৌসুম। এ অঞ্চলে আমড়ার ফলনও সর্বত্র। আর সবশেষে আসে সুপারি। একটু কম হলেও বছরের অন্যান্য সময়ও ব্যস্ত থাকে এই হাট। ফল ছাড়াও এখানের প্রধান পণ্য বিভিন্ন রকম সবজি। একটি ভাসমান বাজার ভ্রমনের জন্য এখন অনেক পর্যটক ই ছুটে বেড়ান ভিমরুলি ঘুরতে।

Tuesday, October 16, 2018

“বাঁশবাড়ি সমুদ্রসৈকত” (Bashbari sea beach)



আপনি কী জানেন সীতাকুণ্ডে সমুদ্রসৈকত আছে? এবং চমৎকার সে জায়গাটি! দেখে মনে হয় সৃষ্টিকর্তা যেন নিজ হাতে সীতাকুণ্ডকে প্রাকৃতিক রূপ বৈচিত্রে চমৎকার ভাবে সাজিয়েছেন। সীতাকু্ণ্ডেরপূর্বে সারি সারি পাহাড় আর পশ্চিমে সুবিশাল সমুদ্র, এ যেন প্রকৃতির অপরূপমিলন।
সীতাকুন্ড সমুদ্রসৈকতটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহূত হয়ে আসছে। এর তীরে ১৫২ টি জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প অবস্থিত। সীতাকুন্ড থেকে সন্দ্বীপগামী ৪টি ফেরিঘাট এখানে রয়েছে। অসম্ভব সুন্দর এই জায়গাটি পড়বে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৪০ কি।মি উত্তরে।

যেভাবে যাবেনঃ রাতের বাসে যেকোন চট্টগ্রামগামী বাস নিয়ে চট্টগ্রাম চলে যান। তারপর চট্টগ্রাম শহর থেকে বাস, মেক্সী, টেক্সীতে ৪০ কি.মি. উত্তরে এলে সীতাকুণ্ড উপজেলা পড়বে। সীতাকুন্ড বাঁশবাড়িয়া বাজার নেমে হাইওয়ের পশ্চিমে সিএনজিকে সমুদ্রসৈকত বললেই নিয়ে যাবে ৷ ভাড়া জনপ্রতি ২০ টাকা ৷ আর রিক্সায় যেতে চাইলে ভাড়া পরবে ৪০-৫০ টাকা ৷ ২জন হলে সিএনজি থেকে রিক্সাই ভালো কারন এতে করে রাস্তার চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পাওয়া যায় ৷

বাঁশবাড়ি সমুদ্রসৈকতের নতুন নতুন ছবি দেখতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। 

আরো পড়ুনঃ

নিঝুম দ্বীপ - একটি নিরব সৌন্দর্যের দ্বীপ ( Nijhum Dwip is a silant island )

লালাখাল সিলেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান (Lalakhal is the most attractive tourist spots in Sylhet)



সিলেট শহর থেকে প্রায় 35 কিলোমিটার দূরে জৈন্তাপুর উপজেলায় স্বচ্ছ নীল পানির একটি নদী যার নাম লালাখাল। এটি বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত একটি পর্যটন এলাকা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি। প্রকৃতিকে একান্তে অনুভব করার জন্য স্থানটি বেশ উপযোগী। পাহাড়ে ঘন সবুজ বন, নদী, চা-বাগান ও নানা জাতের বৃক্ষের সমাহার লালাখালজুড়ে। পানি এবং প্রকৃতির সমন্বয় আপনাকে একটি অসাধারণ অনুভূতি দেবে। আপনি অপার শান্তির আমেজ অনুভব করবেন। বিস্ময়ের ব্যাপার হল, এখানে আপনি আদিবাসীদের সাথে দেখা করার সুযোগ পাবেন। এলাকাটি পর্যটকদের জন্য একটি প্রিয়, পছন্দসই এবং প্রতীক্ষিত জায়গা। সড়কপথ, নৌপথ দুভাবেই যাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও নৌ ভ্রমণটা বেশি উপভোগ্য বলে এটাকেই বেছে নেয় অধিকাংশ পর্যটক। নৌপথে যেতে যেতে যেদিকে চোখ যায়, মুগ্ধতায় নেমে আসে মগ্নতা! নিশ্চিতভাবে কিছুক্ষণের জন্য আপনি কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যেতে চলছেন, এ খেয়াল হবেই না! ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। লালাখাল ভ্রমণের জন্য শীতের প্রথম ভাগটাই উপযুক্ত সময়। চাইলে বৃষ্টির দিনে ভ্রমণ করা যেতে পারে। তবে শীতের সময়টা বেশ নিরাপদ।