Friday, November 2, 2018

বাংলাদেশের জলপ্রপাত ও ঝর্ণাধারা ( Beautiful waterfall of bangladesh)



বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় একটি শান্তিপুর্ণ দেশ। সিলেট ও ​​চট্টগ্রাম বিভাগে আশ্চর্যজনক ও সুন্দর প্রাকৃতিক পর্যটক স্থান রয়েছে। বিশেষ করে জলপ্রপাত, ঝর্ণা, পাহাড়, সবুজ ঘন বন এবং উপজাতীয় গ্রামগুলি প্রধান আকর্ষণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটক প্রতিবছর বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে আসে।

হাম হাম জলপ্রপাতঃ

হাম হাম সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনভূমিতে অবস্থিত বাংলাদেশের বৃহত্তম জলপ্রপাতগুলির মধ্যে একটি। ২010 সালে বাংলাদেশের কিছু শিক্ষার্থীরা এই সুন্দর জলপ্রপাত আবিষ্কার করেছেন। বড় পাথরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পার্শ্ববর্তী বন এবং এর আশেপাশের প্রবাহগুলি পর্যটকদের জন্য প্রধান আকর্ষণ। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে জলপ্রপাতটি দাঁড়িয়েছে, যেখান থেকে ভারতীয় সীমান্ত পরিষ্কারভাবে দেখতে পাওয়া যায়। হাম হাম জলপ্রপাত উচ্চতা প্রায় 147 থেকে 160 ফুট। যা বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত।


মাধব কুন্ড জলপ্রপাতঃ

মাধবকুন্ডা মৌলভীবাজার জেলার বোরলেখা উপজেলায় অবস্থিত আরেকটি সুপরিচিত জলপ্রপাত এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। দখিনা বাঘ রেলওয়ে স্টেশন থেকে এটি প্রায় 3 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জলপ্রপাতটির উচ্চতা প্রায় 200 ফুট। এটি তার পার্শ্ববর্তী বন এবং এর আশেপাশের প্রবাহমান পানির জন্য একটি জনপ্রিয় পর্যটক স্পট। জলাধার এবং পর্যটক কুটিরের সাম্প্রতিক সংযোজনে স্থানটির সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

নাফা-খুম ঝর্ণাধারাঃ
  
"খুম" শব্দটির অর্থ মার্মা ভাষায় "ঝরনা"। বান্দরবন পার্বত্য জেলার অন্তর্গত থানচি উপজেলায় একটি দূরবর্তী এলাকায় বন্য পাহাড়ী সুঙ্গু নদীর উপর ঝরনাটি অবস্থিত। নফখুম ফোয়ারা রেমাক্রি ঝর্না নামেও পরিচিত। জলপ্রপাতের পরিমাণ এবং পর্যটকদের দেখার জন্য বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র গুলির মধ্যে এটি একটি।

যাদিপাই ঝর্ণাধারাঃ
  
চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত আরেকটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র যাদিপাই ফোয়ারা। বৃষ্টির সময় জাদিপাই ঝর্ণার প্রবাহ খুব রুক্ষ হয়ে যায়। ঝরনা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এত আশ্চর্যজনক এবং বিস্ময়কর দেখায় যে সেখানে পৌঁছানোর পর পর্যটকরা তাদের যাত্রার যন্ত্রণার ভুলে যান। এখানে কয়েকটি উপজাতীয় গ্রাম রয়েছে যেখানে পর্যটকরা ডিনার নিতে বা আরামদায়ক ভাবে রাতে কাটাতে পারে।

শুভলং ঝর্ণাধারাঃ
  
শুভলং ঝর্ণাও একটি বিখ্যাত ঝরনা যা বিখ্যাত কাপ্তাই হ্রদের পাশে বোরোকলে এবং রাঙ্গামাটি থেকে ২5 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ঝর্ণাটি শূভলং বাজারের খুব কাছাকাছি। বৃষ্টির সময় ফোয়ারা সক্রিয় থাকে। জলপ্রপাতটির উচ্চতা 300 ফুট । এখানে স্থানীয় একটি বাজার আছে যেখান থেকে পর্যটকরা কেনাকাটা করতে পারে এবং পুকুরের পরিস্কার পানিতে সময় কাটাতে পারে।আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঝরনা নিজেই চেয়ে আরো সুন্দর। এই কারনে বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এ পরিনত করেছে।

বাকলাই ঝর্ণাধারাঃ

বাকলাই ফোয়ারা বাংলাদেশের সবচেয়ে শান্ত ও সর্বোচ্চ ঝরনা। ঝরনা প্রায় তিন শত আশি ফুট উচ্চ। বান্দরবান পাহাড়ের গভীরতম এলাকায় থানচি উপজেলা বক্লাই গ্রামের কাছে এটি অবস্থিত। এটি বান্দরবানের লুকানো জায়গা যা দীর্ঘদিন ধরে অজানা ছিল।একজন পর্যটক অন্তত ৭ দিন হাতে নীয়ে এখানে আসতে হবে। শুধুমাত্র সৌন্দর্য প্রেমী ভ্রমণকারী এই বিস্ময়কর জায়গা দেখার জন্য আসেন।


বাংলাদেশের জলপ্রপাত ও ঝর্ণাধারা্র নতুন নতুন ছবি দেখতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। 






আরো পড়ুনঃ

ঢাকেশ্বরী মন্দির - বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র(Dhakeswari Temple - popular tourist center of bangladesh)

No comments:

Post a Comment