Sunday, October 21, 2018

ময়মনসিংহের কুমিরের খামার (Crocodile farms of Mymensingh)


কখনো সামনে থেকে কুমির দেখেছেন? চিড়িয়াখানায় খাঁচার ওইপাশে মরো মর অবস্থায় পড়ে থাকা কোনো কুমিরের উপরে হয়তো চোখ পড়েছে আপনার, তবে এবার যেই স্থানের কথা বলবো সেখানে গেলে আপনি কেবল কুমির দেখতে নয়, বরং কুমির কীভাবে বেড়ে ওঠে ও পালিত হয়- পুরটাই দেখতে পাবেন। বলছিলাম ময়মনসিংহের কুমির খামারের কথা।

ভালুকা উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে শালবনেরভিতর উথুরা ইউনিয়নের হাতিবের গ্রাম। এখানেই গড়ে তোলা হয়েছে কুমিরের বিরাট খামার। এপ্রকল্পের উদ্যোক্তা ‘রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড’। খামারের জন্য ২০০৪ সালের ২২ ডিসেম্বরমালয়েশিয়া থেকে সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে আনা হয় ৭৫টি কুমির।৭৫টি কুমিরের মধ্যে পুরুষ কুমির ছিল ১৩টি। আনারপরের দিনই বিশেষভাবে তৈরি পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয় এগুলো। ২০০৬ সালের আগস্টে দুটিকুমির প্রথম ডিম দেয়। প্রথম বছরে ডিম ও বাচ্চার সংখ্যা কম হলেও ক্রমশ বাড়তে থাকে।বর্তমানে এ খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০ কুমির রয়েছে। শুরুতে খামারের আয়তন ১৪একর হলেও এখন তা গিয়ে ঠেকেছে ২১ একরে। ২০১৩ সালে আমদানি করা হয় আরও ২১টি বড় কুমির।অবশ্য ২০১২ সাল পর্যন্ত ১০টি কুমির বিভিন্ন কারণে মারাও যায়। ২১টি পুরুষ কুমির আর৬৪টি মাদি কুমির নিয়ে বর্তমানে এ খামারে বড় কুমিরের সংখ্যা ৮৫টি। তাদের জন্য রয়েছে৪০টি পুকুর। রপ্তানিযোগ্য কুমিরের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় তৈরি করা হয়েছে ৬০০টি আলাদাপুকুর।
শুরুতে খামারের আয়তন ১৪ একর হলেও এখন তা গিয়ে ঠেকেছে ২১ একরে। খামারকে ঘিরে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষের পাশাপাশি এ খামার এলাকায় ৫ হাজার ফলদ ও বনজ গাছের সমন্বয়ে ছায়াঘেরা নৈসর্গিক প্রাকৃতিক পরিবেশও রয়েছে সেখানে।
হয়তো ভ্রমনের জন্য স্থানটি খুব একটা আকর্ষনীয় নয়, তবে একবার অনুমতি নিয়ে ঘুরেই আসুন না! দেখবেন, খুব একটা খারাপ লাগছে না।


No comments:

Post a Comment